সাতবিল ডেস্ক ঃ বগুড়ার সোনাতলার বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা টিজিএসএস এর চেয়ারম্যান ও নাফিম কনজু্্যমার প্রডাক্টের স্বত্বাধিকারী সাদা মনের মানুষ ও আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম মানব সেবার বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। তিনি জনপ্রিয়তা, সমাজ সেবা ও এলাকার কর্মহীন বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়ে সোনাতলার মধুপুর ইউনিয়নবাসীর মনিকোঠায় স্থান দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
এলাকার অসহায়, দুস্থ দরিদ্র খেটে খাওয়া, নদীকুলীয় মানুষের একমাত্র কান্ডারী, অন্যায়ের বিপক্ষের কন্ঠস্বর, হাজারও বেকার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়ে তিনি সোনাতলা উপজেলাবাসীর মনিকোঠায় স্থান দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। সাইফুল ইসলাম এছাড়াও তেকানী আব্দুল মান্নান বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, পূর্বতেকানী ইয়াকুবিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা, সাতবিল প্রতিদিনের প্রকাশক, জাতির জনক শিক্ষা গবেষণা পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা, নাফিম কনজুমার এর স্বত্ত¡াধিকারী। ইতিমধ্যেই তিনি ভেজাল খাদ্য দ্রব্য থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন নাফিম কনজুমার প্রডাক্টের বিভিন্ন খাদ্য পণ্য সামগ্রী। যা শুধু সোনাতলায় নয়, গোটা বাংলাদেশের হাট বাজার শহর বন্দরের দোকানে প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নাফিম কনজুমার প্রডাক্টের মালামাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
তিনি দীর্ঘদিন যাবত যমুনা ও বাঙালী নদী বেষ্টিত সোনাতা উপজেলার খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের পাশে ছায়ার মতো লেগে আছেন। দিন নেই, রাত নেই। ছুটে যান বিপদগ্রস্থ মানুষের দোরগোড়ায়। এছাড়াও এলাকার মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, সামাজিক সাংষ্কৃতিক সংগঠন সহ এমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে তাঁর অনুদানের ছোঁয়া লাগেনি। এছাড়াও যুব সমাজকে মাদক ও নেশার কবল থেকে রক্ষার জন্য সোনাতলা উপজেলার যুব সমাজকে মাঠমুখী করছে। এছাড়াও প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল এবং ঐতিহ্যবাহী হারানো দিনের খেলাধুলা হাডুডু, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যাচ্ছেন। এলাকার ছোট খাটো রাস্তাঘাট নিজের অর্থায়নে মেরামত ও সংষ্কার করে দিচ্ছেন। এতে করে এলাকাবাসীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে নব দিগন্তের সূচনা হচ্ছে। অভাবী ও দায়গ্রস্থ কন্যার পিতাকে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এছাড়াও সমাজের অবহেলিত ও বঞ্চিত প্রতিবন্ধি শিশুদের শিক্ষার সু-ব্যবস্থা করার জন্য এলাকায় ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছেন। করোনাকালে তিনি আলাদা করে সেবায় ব্রতী হয়েছেন। তাঁর প্রত্যক্ষ প্রচেষ্টায় প্রকাশিত হয়েছে কোভিড-১৯ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ শীর্ষক গ্রন্থ। যে বইটিতে প্রধানমন্ত্রীর ১২ বছরের শাসনকালের ব্যাপক উন্নয়নের স্বচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে জনসচেতনতা সভা করে লিপলেট, মাস্ক, স্যাভলন, সাবান বিনামূল্য বিতরণ করেছেন। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে হত দরিদ্র, পত্রিকা বিক্রেতা সহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে কয়েক দফা সাহায্য সহযোগিতা করে মানুষের দৃষ্টি কেড়েছেন। এলাকাবাসী মনে করেন, এই ধরনের সাদা মনের মানুষকেই জনপ্রতিনিধি হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, মানুষের সেবা করা আমাদের পারিবারিক টেডিশন। আমার দাদা ও মামা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। শৈশব ও কৈশোর কালে তাদের কাছ থেকে অনেক সেবামূলক কাজ শিখেছেন। সাইফুল ইসলাম আরও জানান, মানুষের সেবা করলে আমি আত্মতৃপ্তি পাই। এছাড়াও তিনি আরও জানান, ভালো কাজের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকা সম্ভব।