সোনাতলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটনের নামে অসত্য তথ্য সংবলিত পোস্টারিং এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

0
427

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন


সাতবিল ডেস্ক ঃ সোনাতলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটনের নামে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সংবলিত পোস্টারিং এর প্রতিবাদে বুধবার সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউনিয়ন পরিষদ এ্যাসোসিয়েশন সোনাতলা উপজেলা শাখার সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বুলু।

তিনি তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন,সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী পরিবারের অভিভাবক, দুঃসময়ের কান্ডারী, সোনাতলা উপজেলার সর্বকালের সেরা উপজেলা চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী অ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটনের বিশাল ব্যক্তিত্বকে ¤øান করার অপচেষ্টায় সম্প্রতি বগুড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে ‘সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্যাতিত নেতৃবৃন্দ’ ব্যানারে পোস্টারিং করা হয়েছে। পোস্টারটিতে অ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটন সম্বন্ধে যে সব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, কাল্পনিক, ভূয়া ও বানোয়াট। প্রকৃত ঘটনা হলো-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনা ও ইউএনও মহোদয়ের সভাপতিত্বে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রকাশ্য লটারী ও প্রকাশ্য অনলাইন লটারীর মাধ্যমে সোনাতলা খাদ্য গুদামে শতভাগ সরকারি নিয়ম অনুসারে কৃষক সরাসরি ধান প্রদান করে থাকে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেই বিষয়টি যে শতভাগ স্বচ্ছ ছিল তা প্রমাণিত হবে। সোনাতলা উপজেলায় বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ও কোমলমতি শিশুদের বিনোদনের জন্য দোলনা প্রদান করা হয়েছে; তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সরাসরি তত্ত¡াবধানেই ক্রয় করা হয়েছে। এটার সাথে উপজেলা পরিষদ সংশ্লিষ্ট নয়। সোনাতলা উপজেলাধীন ৭ টি ইউনিয়নের বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মাতত্বৃকালীন ভাতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিজস্ব অর্থায়নে দফায় দফায় মাইকিং করে যোগ্য ব্যক্তিদেরই প্রদান করা হয়েছে। সোনাতলা উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করলে এ বিষয়ের সত্যতা পাওয়া যাবে। রিলিফ কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের এখতিয়ারভূক্ত নয়। এটি সরাসরি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার তত্ত¡াবধানে ও ইউপি চেয়ারম্যানের তালিকার ভিত্তিতে বিতরণ করার নিয়ম। এ নিয়মের ভিত্তিতেই রিলিফ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ইউএনও মহোদয়ের তত্ত¡াবধানে এলজিএসপি প্রকল্পটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। যার সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই। সোনাতলা উপজেলার তালিকাভূক্ত হাট-বাজারগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্ত¡াবধানে যথাযথ নিয়ম অনুসরণপূর্বক টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে। সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট একমাত্র উপজেলা পরিষদের অধীনস্থ আর বাকী হাটগুলো ইউনিয়ন পরিষদের অধীনস্থ। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটনের বাবা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সরকারি চাকুরীতে কর্মরত ছিলেন। বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকতা থাকাকালীন ১৯৮৬ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। সরকারি চাকুরী করা স্বত্তে¡ও মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্মক ভাবে তিনি সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি বগুড়া-১ আসনের এমপি সাহাদারা মান্নানের বাবা প্রয়াত এমপি আব্দুল মান্নানের শ্বশুরও বটে। পোষ্টারটিতে দেয়া তথ্যে-‘পারিবারিকভাবে কাউকে লাঞ্চিত করা হয়েছে’ বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে কোন বিষয়ে কথা বলা ও পোষ্টারিং করা হীন মানসিকতারই পরিচায়ক । গোবরচাঁপা বিল সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য হলো- পৈতৃকসূত্রে অ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটনের পূর্ব থেকেই কিছু জলা ছিল। এর সঙ্গে পরবর্তীতে কিছু জলা ক্রয় করার পর মৎস্য উৎপাদনের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়নকে গতিশীল করার লক্ষ্যে পুকুর খনন করা হয়েছে, যার সর্বোচ্চ পরিমান ১৫(পনের) বিঘা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় রশিদপুর, পাতিলাকুড়া গ্রামকে শতভাগ আলোকিত করার জন্য জাইকা প্রকল্পের অর্থায়নে টেন্ডারের মাধ্যমে সোলার রোড লাইটের ব্যবস্থা করা হয়। সেই আলোকে এই দুটি গ্রামের রাস্তায় রোড লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এটিকে অসত্য ও কুরুচিপূর্ণভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ‘অ্যাড.মিনহাদুজ্জামান লীটন একজন স্বচ্ছ রাজনৈতিক প্রবক্তা। সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় পরিচালিত করার জন্য তিনি সবসময় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন; যা সোনাতলা আওয়ামী পরিবারসহ সর্বস্তরে ব্যাপক প্রশংসিত। সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর চলমান কার্যক্রমকে বাঁধাগ্রস্থ করতে গত ২০/১২/২০২০ তারিখে সোনাতলায় জনৈক ব্যক্তির স্কুল মাঠে জাতীয় শ্রমিক লীগের কর্মীসভায় বগুড়া জেলা শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দকে ভূল বুঝিয়ে সোনাতলা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকিরের চাচাতো ভাই, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম দল বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল আজিজ হীরার আপন ভাই, সোনাতলা সকল অরাজকতার হোতা, বিএনপির কুখ্যাত সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ, ১/১১ এর সময় অসংখ্য অভিযোগে অভিযুক্ত, দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা রেজাউল করিম মানিক আকন্দকে জাতীয় শ্রমিক লীগে যোগদান করায়। যোগদান করার কয়েকদিন পরেই ২৭/১২/২০২০ ইং তারিখে দলীয় সকল নিয়ম কানুনকে উপেক্ষা করে তাকে জাতীয় শ্রমিক লীগ, সোনাতলা উপজেলা শাখার যুগ্ম আহŸায়ক করা হয়; যা আওয়ামী লীগের দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও সাধারন মানুষের কাছে নিন্দনীয়। এই ঘটনার দলীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে প্রতিবাদ করায় অ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটনের উপর ক্ষুব্ধ হয় প্রতিক্রিয়াশীল চক্রটি। ঐ চক্রটিই মূলত সোনাতলা উপজেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান অ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটনের ব্যক্তি চরিত্রকে হনন ও রাজনৈতিক অর্জনকে ধ্বংস করার অভিপ্রায়ে উঠে পড়ে লেগেছে। এহেন কর্মকান্ডের সাথে তারাই জড়িত। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সকল ইউপি চেয়ারম্যান এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আপনাদের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দের নিকট অপপ্রচারকারী প্রতিক্রিয়াশীল চক্রটির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। সেইসাথে এরকম মিথ্যা অপপ্রচারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহিদুল বারী খান রব্বানী, সহ-সভাপতি ও তেকানী চুকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শামছুল হক মন্ডল, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক নবীন আনোয়ার কমরেড, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌসী রুম্পা, দিগদাইড় ইউপি চেয়ারম্যান আলী তৈয়ব শামীম, পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার জৈন নতুন, বালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রুহুল আমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রবিউল আউয়াল বিপ্লব, প্রচার সম্পাদক রবিউল খান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিস্টার, সাবেক সভাপতি শাহজাহান আলী খন্দকার, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবলু আকন্দ, পাকুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল আহম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাশেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফিদা হাসান খান টিটো, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন জুয়েল, পৌর যুবলীগের আহŸায়ক নাহিদ হাসান জিতু, যুগ্ম আহŸায়ক নুরুন্নবী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহŸায়ক শাহনেওয়াজ তারুকদার বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম রাব্বী, প্রভাষক রেজাউল করিম উপজেলা কৃষকলীগের আহŸায়ক আবু লায়েছ হোসেন নাহিদ, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহŸায়ক মাহুমুদর রশীদ সোহেল,উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান রতন, সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার, সহ-সভাপতি শওকত হোসাইন নয়ন, অমিত কুমার গুপ্তসহ আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন


LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here